ঢাকা,শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

হারবাং ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :: চকরিয়ায় মা-মেয়েকে নির্যাতনের আলোচিত মামলার অন্যতম আসামী হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে মাঠে নেমেছে পুলিশের একাধিক টিম। ইউপি চেয়ারম্যানের সম্ভাব্য অবস্থান নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরাও মাঠে রয়েছেন। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে মামলা রের্কড হওয়ার পর এদিন গভীর রাতে পুলিশ কয়েকদফা ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ও হারবাং ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালিয়েছে। সেখানে ব্যাপক তল্লাশি চালানোর পরও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলা হওয়ার পরপরই ইউপি চেয়ারম্যান গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
এদিকে নির্যাতনের ঘটনায় মা-মেয়ের সাথে গ্রেফতার হওয়া পুত্র মো: এমরান ও সিএনজি চালক মোহাম্মদ ছুট্টু জেলহাজতে রয়েছেন। তারা এখনো জামিন পাননি। আগামী রোববার বা সোমবারের মধ্যে চকরিয়া উপজেলা জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবি এডভোকেট ইলিয়াছ আরিফ।
এডভোকেট ইলিয়াছ আরিফ বলেন, গরু চুরির অপবাদে নিযার্তনের শিকার মা পারভীন বেগম ও তার দুই মেয়ে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে ক্ষতিগ্রস্থ হিসেবে মা পারভীন বেগম হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামকে প্রধান আসামী ও তার চার সহযোগির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন । মামলা হওয়ার পর পুলিশ ইচ্ছা করলে যে কোন সময় আসামীদের গ্রেফতার করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কয়েকজন আইনজীবি দ্রæততম সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করতে চকরিয়া থানার ওসিকে জানিয়েছি। ওসি সাহেব গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন। এবিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি গুলো দ্রæত সময়ে রির্পোট পেশ করবেন বলে আশা করছেন তিনি।
সূত্র জানায়, আলোচিত মা-মেয়ের নিযার্তনের ঘটনায় গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি দুয়েক দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন। চকরিয়া উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে চকরিয়ার সার্কেল এএসপি মো: মতিউল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির মেয়াদ আগামী ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রয়েছে। কমিটির প্রধান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত কক্সবাজার স্থানীয় সরকারের পরিচালক শ্রাবস্তী রায়কে প্রধান করা তদন্ত দল কয়দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন সেই রকম কোন সময় সীমা বেধে দেয়া হয়নি। তবে ওই কমিটিও দ্রæত সময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত দলের প্রধান।
চকরিয়া থানার ওসি মো: হাবিবুর রহমান চকরিয়া নিউজকে জানান, জামিনে মুক্ত হওয়া মা পারভীন বেগম, তার দুই মেয়ে সেলিনা আক্তার ও রোজিনা আক্তারকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কক্সবাজারের সহকারি পরিচালক শাহ পরান ও তাদের আইনজীবি এডভোকেট ইলিয়াছ আরিফের জিম্বায় দেওয়া হয়েছে। মা-মেয়ে বাড়িতে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের নিরাপত্তায় বাড়িতে পৌছানোর ব্যবস্থা করার কথা জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: